বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ অপরাহ্ন
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জে চালককে হত্যা করে ট্রাক ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর ট্রাকচালকের মরদেহ ফেলে রাখা হয় সাতছড়ির গহীন বনের ভেতর। ঘটনার পাঁচদিনের মাথায় রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ।
একই সঙ্গে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (১৮ মে) বিকেলে ট্রাকচালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ট্রাকচালক সাগর সরকার শহরের নোয়াহাটি এলাকার প্রদীপ সরকারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, সাগর জনৈক কবির মিয়ার ট্রাক ভাড়ায় চালাতেন। একই মালিকের অপর একটি ট্রাক চালাতেন বাবুল মিয়া। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ১৩ মে বাবুল মিয়ার পরিচিত আলাউদ্দিনসহ একটি চক্র ট্রাক ভাড়ার নামে সাগরকে নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জে যান।
সেখান থেকে মাধবপুর যাওয়ার কথা বলে রওনা হন তারা। চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের পাশে গহীন জঙ্গলে নিয়ে সাগরকে হত্যার পর মরদেহ সেখানে ফেলে রাখেন তারা। পরে ট্রাক বিক্রির জন্য মাধবপুর উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী মনতলা এলাকায় নিয়ে যান।
এ ঘটনায় নিখোঁজ সাগরের বাবা প্রদীপ সরকার সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরই প্রেক্ষিতে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে সদর থানার ওসি মো. মাসুক আলী ঘটনার তদন্তে নামেন।
প্রথমে সন্দেহ হয় ট্রাকটি হয়তো চালক সাগরই নিয়ে পালিয়েছেন। পরবর্তীতে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপর ট্রাকচালক শহরের যশেরআব্দা এলাকার বাসিন্দা তাজু মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়াকে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যে শায়েস্তাগঞ্জের আব্দুল কাদিরের ছেলে আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে হত্যার বর্ণনা দেন।
তাদের দেয়া তথ্যে সোমবার বিকেলে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বন থেকে সাগরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে মনতলা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই করা ট্রাকটি।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, তারা দুর্ধর্ষ অপরাধী। ঘটনার সঙ্গে মোট চারজন জড়িত। তাদের একে-অপরের সঙ্গে কারাগারে পরিচয় হয়। সেখান থেকে বের হয়ে তারা একটি গ্রুপ তৈরি করে। পরে চুরি-ছিনতাই, ডাকাতির সঙ্গে জড়ায়। তাদের অপর দুই সহযোগীকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তারাও পুলিশের নাগালের মধ্যেই আছে।